মেয়েটা আমার মতই হাঁসতে জানতো
মেয়েটা পাগল ছিল,পাগল করত
সে ভাসতে জানতো,সে ভাসাতো
সে উড়ত,সে উড়াতো
মেয়েটা ভাবতে জানতো,সে ভাবাতো
মেয়েটা আমার মতই কথা বলতে জানতো!
যদি কিছু সে নতুন শিখতো খুব আহ্লাদে আমায় শিখাতো
মেয়েটার কাজল কালো আঁখি ছিল,
নদীর বাক কোমর ছিল,শান্ত একটা স্বভাব ছিল
মেয়েটা যখন দেখত,আমায় দেখাতো!
তার প্রকৃতি প্রদত্ত মায়া ছিল,মুখ-খানায় মায়ার ছাপ ছিল।
মেয়েটা রবীন্দ্র,জীবনানন্দের গল্পের নায়িকা ছিল
আর লিখকের বুকের কলিজা ছিল
মেয়েটা স্বপ্ন দেখত,স্বপ্ন দেখাতো
মেয়েটা বহু সুরের অচিন পাখি ছিল!
মেয়েটা ছিল কিন্তু মেয়েটা নাই,নাহ এমন কিছুই ঘটে নাই
মেয়েটা ছিল,সে আছে এবং থাকবে
মেয়েটা হাসবে,হাসাবে,বাতাসে মিশে মিশে যাবে
ভীষণ খরা বাজারে মন্দা তার মাঝেও সুখের চাষ করে যাবে
মেয়েটার শরীর ভরা নেশা,আর তাতে ব্যাপক মধু আছে
মধুর মধুতে মাতাল জীবন,তারও একটা জীবন আছে!
0 comments:
Post a Comment