রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাচ্ছে এবং তারা জানান দিয়েই যাচ্ছে যে আমরা যাচ্ছি, ঠিক সে সময় মানুষের চোখে যেই আতংকটা কাজ করে, সেই আতংকটা ইদানিং রুদ্রর নীলাঞ্জনাকে দেখলে কাজ করে যে আবার কোথায় আগুন লাগলো
রুদ্রর মধ্যে আজকাল আবার সেই পশুত্ব ভাবটা জেগে উঠেছে! যে চাইলেও তার দুনিয়ার প্রতি যে বিরক্তি ভাব,তা লুকাতে পারে নাহ! এটা হয়ত সময়ের দোষ
একদিন রুদ্রর এক পুরনো বন্ধু যে কিনা রুদ্রর সেই পশু রূপটার সাথে পরিচিত সে রুদ্রকে বার্তা পাঠালো.....
বন্ধু : কেমন আছ?
রুদ্র : আগের মতই!
বন্ধু : জি এফ নাই?
রুদ্র : নেই!
বন্ধু : ও ! আমরা পাই না কেন?
রুদ্র : খুজলে তো সবই মিলে দাদা।
বন্ধু : এইটা ঠিক আমি খুঁজি ও না!
রুদ্র : হুম! যেমন আছ খুব ভালই আছ পেইন নাই।
বন্ধু : ভালবাসা কি পেইন নাকি?
রুদ্র : না! পেইন হইল মাইয়া
বন্ধু : হুম। ভাল মেয়ে খুজে পাওয়া খুব কষ্টকর।
রুদ্র : ভাল মেয়ে খোঁজায় যদি হও লিপ্ত,
দাদা জীবন যৌবন সব হবে তোমার উপর খিপ্ত
বন্ধু : বাহ! প্রেমে পড়লে মানুষ কবি হয়ে যায়।
রুদ্র : আমি আর প্রেম ব্যাপারটা একসাথে যায় নাহ!
বন্ধু : ঐ তো টাইম পাছ
রুদ্র : পাছ করার মত সময় পেলাম কই?
বন্ধু : তাহলে তুমি যা কর ওটা কি?
রুদ্র : জীবন উজ্জাপন!
বন্ধু : এটা এক এক জনের একেক রকম হয়।
রুদ্র : আসলেই,নতুন মানুষ,নতুন পরিবেশ,নতুন সংস্কৃতি,নতুন শিক্ষা!
বন্ধু : কিন্তু একদিন মানুষ বুঝবে সব ভুল ছিল!
রুদ্র : ভুল ব্যাপারটা বড়ই আপেক্ষিক
বন্ধু : কিন্তু মানুষ তার ভুল যত পরে বুঝে তত বেশী কষ্ট পায়
রুদ্র : কষ্ট তো ভাল স্মৃতি তেও পায়
বন্ধু : বিয়ে করবা কত দিন পর?
রুদ্র : ৭বছর!
বন্ধু : তাহলে ৭বছর পর ভুল বুঝা শুরু করবা।
রুদ্র : হাহাহাহাহা...
বন্ধু :
হঠাৎ রুদ্রর এক কাছের বড় ভাইয়ের বলা একটি কথা রুদ্রর মনে পরে এবং ভীষন হাসি পায়,
পৈশাচিক হাসি
কথাটি হল "তোর কাছে একটি মাত্র পেন-ড্রাইভ আছে ১৬জিবি, এখন তুই নিজেই ঠিক কর ওইটাতে কি তুই একটা গান ঢুকাবি ১৬জিবির? নাকি ছো্ট ছো্ট অনেকগুলা ? রুদ্রর হাসি পায় এই কারণে যে এই কথাটি বলেছে সে নিজেই কয়েকদিন আগে ঘোষণ দিয়েছে যে,সে নতুন পেনড্রাইভে কিনবে "
0 comments:
Post a Comment