রোকেয়া চৌধুরীর হঠাৎ করেই নিজেকে ভীষণ একলা মনে হচ্ছে! মনে হচ্ছে, এই গোটা পৃথিবীতে সে ছাড়া আর একটিও প্রাণের সন্ধান নেই! কোথাও কেউ নেই।তিনি একা,ভীষণ একা।
তার সামনেই ফুটফুটে নীল পাঞ্জাবী পরা একটা মানুষ ঘুমিয়ে আছে, গভীর ঘুমে। যেই ঘুম আর ভাঙবে না কখনও! এইতো মাত্রই কথা বলছিল তার স্বামী হাবিব চৌধুরী, হঠাৎ করেই হাবিব চৌধুরী তার বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করে! বুক ধরে সে শুয়ে পরে , আর সাথে সাথেই ঘুম! চিরদিনের জন্য।।
বাসায় শুধু তারা দুজনই ছিল বাকি সবাই কাজে ব্যাস্ত!রোকেয়া চৌধুরী যখন বুঝতে পারলেন যে, হাবিব চৌধুরী মৃত!!! তখন তার চোখের সামনে জেনো কে একের পর এক স্মৃতি তুলে ধরছে, সময় আসলে কত দ্রুত পার হয়ে গেছে! দেখতে দেখতে ঐ মৃত মানুষটার সাথে সে ১৩ টা বছর পার করে ফেলেছে ! ঠিক ২১ বছর বয়সে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। প্রেমের বিয়ে, আহ্লাদের বিয়ে।
হুট করেই স্বামীকে তার কিছু বলতে ইচ্ছা করছে, প্রচণ্ড ইচ্ছা করছে বলতে কিন্তু সে পারছে না কিছুতেই তার গলা থেকে শব্দ বের হচ্ছে না, আর শব্দ বের হলেও যে হাবিব চৌধুরী আর শুনবে না তাও তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না।
সেই কথাগুলো আজ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, "দৈনিক খবর" পত্রিকার নাম! রোকেয়া চৌধুরী এখন দেশের প্রথম কাতারে থাকা অন্যতম এক লেখিকা! খবরের কাগজটা তাঁর হাতে সে আবার পড়ছে সেই লিখাটা-
তোমার শরীরের চামড়ায় মনে হয় ঈশ্বর প্রদত্ত কোন এক অমৃত রয়েছে,
আমি বারংবার সেই অমৃত ধারণ করতে চাই নিজের ভিতরে,
নেশা করে মাতাল হয়ে যাওয়া আমার আসে নাহ, তবে সেই;
অমৃত আবার পান করার মতো আসক্ত মাতল আমি অবশ্যই।
আবার অমনও তোহ নাহ!তোমার শরীর ছাড়া অন্য কিছুই ভালো আমি বাসি নাহ,
তবে শরীর ভালো লাগাটাও কম কিসে? কয়জন চায় তোমার শরীর সব শেষে?
নাহ,আমার মতো অন্য কেউ চাবে নাহ!
আমি বারংবার সেই অমৃত ধারণ করতে চাই নিজের ভিতরে,
নেশা করে মাতাল হয়ে যাওয়া আমার আসে নাহ, তবে সেই;
অমৃত আবার পান করার মতো আসক্ত মাতল আমি অবশ্যই।
আবার অমনও তোহ নাহ!তোমার শরীর ছাড়া অন্য কিছুই ভালো আমি বাসি নাহ,
তবে শরীর ভালো লাগাটাও কম কিসে? কয়জন চায় তোমার শরীর সব শেষে?
নাহ,আমার মতো অন্য কেউ চাবে নাহ!
আজ হাবিব চৌধুরীর নবম মৃত্যু বার্ষিকী,১৩ই মে!!!
0 comments:
Post a Comment