৪ঠা ভাদ্র। ১৪২৫, মানে আগস্ট মাসের বিদায় বেলা চলে।
আসলে এখন মধ্যরাত, ডায়েরীতে লেখাটা এমনভাবে শুরু হবে আশা করেনি কাব্য! “আশা” নামক বস্তুর যে কি দশা এই ২০১৮তে তা কাব্য ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। এই শব্দটি হয়তো অচিরেই বাংলা ভাষা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিংবা বামপন্থী কিছু সংগঠন হয়ত রাজপথে এই শব্দটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে, প্ল্যাকার্ড পোস্টারে ছেয়ে যাবে শহর “আশা বর্জন হোক, আশাবাদীরা অপরাধী”। বেঁচে থাকলে হয়তো কাব্য নিজেই সেই আন্দোলনে সহমত পোষণ করে যোগ দেবে আর স্লোগান ধরবে।
সে যাক, কাব্য একজন জনপ্রিয় নির্জনবাসী। জীবনের এই পর্যায়ে সে একজন বেকার যুবক বলেও নিজের পরিচয় দেয়া যায় ভাবতে থাকে। এইতো সেদিন এক বন্ধু কাব্য’কে প্রশ্ন করল, আসলে জীবন নিয়ে কি ভাবছিস?
সেদিন মজার ছলে উত্তর দিয়েছিল, সেই দিন আর বেশি দেরী নাই দোস্ত! যেইদিন “জীবন” সয়ং নিজে আমারে নিয়ে ভাববে। আচ্ছা! “জীবন” আর “ভাবনা” এই দুইটির একটিকে যদি কেউ কখনও আপনাকে বেছে নিতে বলে তাহলে কোন শব্দটিকে আপনি গ্রহণ করবেন?
কাব্য আপাতত ভাবছে, প্রচণ্ড ভেবে যাচ্ছে সে। আসলে তার “ভাবনা” ছাড়া ইদানীং আর কোন কাজ নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য বিশ্ব-বিদ্যালয় নিজের দরজায় লম্বা ছুটির নোটিশ ঝুলিয়ে দিল। বড় আহ্লাদের সম্পর্ক ছিল তার একটা, সেখানেও ছুটি! রবীন্দ্রনাথের লেখা ছুটি গল্পের শেষটা যেমন বিষণ্ণ ? এই “ছুটি”গুলোকেও তেমন বিষণ্ণ লাগছে তার। নিত্যদিনের জরুরী কাজগুলো যেন কেমন অবেলায় মুখ ফিরিয়ে নিল। এদিকে সময়গুলো ঠিকই চলে যাচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও কোথায় জেনো কি যাচ্ছে না! অবুঝ যেখানে মস্তিষ্ক নিজে সেখানে অবচেতন মনের দোষ দিয়েও লাভ হচ্ছে নাহ।
এই কয়েকদিনে বেশ অলস হয়ে পরেছে কাব্য।এইতো এখন তার কোন কাজ নেই।ঘুমও ফিরে আসছে নাহ বাড়ি। হঠাৎ কাব্য লক্ষ্য করল তার শয্যা তারে ডাকছে আর বলছে ভাবো, তোমাকে ভাবতেই হবে, ভাবো...............।
0 comments:
Post a Comment